শামীম হোসেন //অযোগ্য অদক্ষ্য ও অদুরদর্শি নেতৃত্বের কারণে চেইন অব কমাণ্ড ভেঙ্গে পড়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের । অভিযোগ রয়েছে, যে কর্মকর্তা যেসব পদের যোগ্য নয় তাকে দিয়ে ওই পদের কাজ করানোর ফলে বিশৃ্খংলা যেন ছাড়ছে না ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে। এমনকি দায়িত্ব প্রাপ্ত পরিচালকরা মানছেন না মহাপরিচালকের কথা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে ওষুধ প্রশাসন ভবনের অডিটরিয়ামে, স্বস্থ্য সচিবের নির্দেশে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ওসুধ প্রশাসন গড়ার লক্ষ্যে আলোচনা সভা ডাকেন ওষুধ প্রশাসনের বর্তমান মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের যুক্তি অনুযায়ী ড্রাগ লাইসেন্স এর ফি বৃদ্ধি, নতুন ওষুধ অনুমোদনের ফি বৃদ্ধি সহ প্রতিষ্ঠানটিকে যুগোপযোগী করার বিষয় আলোচনা হয়। আলোচনা চলাকালিন সময় মন্ত্রনালয়ের কল আসলে অধিদফতরের মহাপরিচালক আলোচনা চালিয়ে যাওয়া কথা বলে আলোচনা সভার দায়িত্ব পরিচালক আইয়ুব হোসেন কে দিয়ে তিনি মন্ত্রণালয়ে চলে যান।
- Advertisement -
পরে এই আলোচনা সভায় পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান একটি প্রস্তাব পেশ করেন উক্ত প্রস্তাব টি কোনরূপ বিবেচনা না করেই মো. সালাউদ্দিন ওই প্রস্তাব টির বিশয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় এবং একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি ঘটন করা হয়। ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালককে আহবায়ক করে কমিটি করা হয়। এতে অন্য সদস্যরা হলেন, পরিচালক মো, আইয়ুব হোসেন ,পরিচালক মো: মোজাম্মেল হোসেন এবং উপ-পরিচালক মো.সামসু উদ্দিন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের স্টক হোল্ডার রা বলছেন, ওষুধ প্রশাসনে পরিচালকরা সবাই প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা তাহলে কিভাবে হাতাহাতির মতো ঘটনা ঘটে। তারা মনে করছেন অযোগ্য কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক দায়িত্ব দেয়ার কারণে এই অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেছে ১০ জন পরিচালক থাকতেও,,,
একজন উপ-পরিচালক মালেক কে সচিব করা হলো ।
ওষুধ প্রশাসনের মেডিকেল ডিভাইস সংক্রান্তে যে পরিচালক সবচেয়ে ভালো জিনি বোঝেন তাদের দায়িত্ব দেয়া উচিত ছিল বলে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়,,
তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না বলে ভুক্তভোগীরা মনে করে ।