নিউজ টাইমস্ থ্রিসিক্সফাইভ::বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে বিএম কলেজছাত্র হত্যায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে বরিশাল জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত। একইসাথে আরো তিনজনকে সাত বছর করে এবং চারজনকে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার আন্ধারবুনিয়া গ্রামের মো: ফরিদ হোসেন, রুহুল আমিন, আনিছ মাতব্বর, মানিক হাওলাদার ও মহরম হাওলাদার। এছাড়া ইব্রাহিম হাওলাদার, স্বপন হাওলাদার, সোহান হাওলাদারকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
অন্যদিকে রফিক হাওলাদার, আলতাফ হাওলাদার, সবুজ হাওলাদার ও মানিক হাওলাদারকে দু’বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডসহ দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত।
বেঞ্চ সহকারী মো: সবুজ জানান, যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
- Advertisement -
দুটি মামলার মধ্যে একটি মামলার বাদি রেশিয়া বেগম মামলায় উল্লেখ করেন, তার পরিবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মী ছিল। ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ নির্বাচনী কথাবার্তা নিয়ে আসামিরা বাদির ছেলে সমীর চারুকে মেহেন্দিগঞ্জের বড়ইয়া বাজারে ফেলে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ২০১৬ সনের ১৭ মার্চ ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় করেন। ২০১৭ সনের ৬ ডিসেম্বর মামলার চাজর্শিট দেন অর্গানাইজ ক্রাইম সিরিয়াস ক্রাইম ফ্লোরাও সিআইডির মো: আলী হায়দার।
এছাড়া বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র মাহিন সরদার কিসলুকে (২৫) বন্ধুরা নগরের চকবাজারের একটি হোটেলে নিয়ে হত্যা করে। কিসলু অনার্সের ফরম ফিলাপের জন্য ঢাকা থেকে বরিশাল এসে হোটেলে ওঠেছিল।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- নলছিটির আকন বাড়ির মৃত মিরাজ হাওলাদারের ছেলে মো: বশির হাওলাদার। আদালত বশির হাওলাদারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
নিহতের বাবা মো: এনায়েত হোসেন ২০১৫ সনের ১৬ মে মামলা করেন। ২০১৬ সনের ৩১ জুলাই মামলার চার্জশিট দেন কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মো: আসাদুজ্জামান। আদালত আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার বিকেলে রায় দেন।