বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি সন্ত্রাসীদের দখলে বিচারের আশায় প্রধানমন্ত্রীর দূয়ারে

0 ৭,৬৮২

স্টাফ রিপোর্টার //
রাজধানী উত্তরা দক্ষিন খান থানাধিন ফায়দাবাদ গোয়াল্টেক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীতে স্থানীয় সন্ত্রাসী এস.এম.মাহাবুব এর নেতৃতে শতাধীক সন্ত্রাসী নিয়ে ২৭২ নম্বর বাড়ির ৩ নম্বর কবরস্থান রোড ফায়দাবাদের বাড়িতে নাটকীয়ভাবে হামলা চালায়। এ সময় উক্ত সন্ত্রসীরা বাড়িসহ বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং মালামাল লুটপাট করে। এ সময় বাড়ির মালিক বীর-মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক এবং তার স্ত্রী ও সন্তানরা বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে তারা গুরুতর আহত হয় এমন কি ওই বাড়ির ভাড়াটিয়াদের উপর হামলা চালায় । তারা সবাই স্থানীয় একটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেয় । এই ঘটনার পরে ভুক্তভোগীরা দক্ষিনখান থানায় গিয়ে ঘটনার বিবরণ দিয়ে মামলা দাখিল করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি । সেই সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন লোকমান হেকিম। ঘটনার বিবরণে উল্লেখ করে, গত ২০/১০/২০১২ তারিখে এক নাটকীয় তান্ডব ওই সন্ত্রাসীরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এরপর একই দিনে গভীর রাতে ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক একটি অভিযোগ করেন দক্ষিনখান থানায়। ওই অভিযোগটি পুলিশ গ্রহন করেন। যাহার মামলা নম্বর- ৩৭। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হেকিম উপরোক্ত থানার পি.এস.আই মোঃ মনিরুজ্জামানকে তদন্ত করতে দেন। তিনি তদন্ত শেষে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করেন। এজাহার ভুক্ত আসামীদেরকে গ্রেফতার না করে উল্টো ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে আসামীর পক্ষ হয়ে পি.এস.আই মোঃ মনিরুজ্জামান আসামীদের দিয়ে মামলা করায় । সেই মামলায় ভুক্তভোগীদেরকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন। ওই সময় আদালত তাদেরকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন। পরে তারা জামিনে বের হয়ে আসেন। ভুক্তভোগীদের এজাহারকৃত আসামীদের গ্রেফতার না করে উল্টো ভুক্তভোগীদের গ্রেফতার করেন। এই ব্যাপারে ওই সময় দক্ষিনখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা অর্থের বিনিময়ে কাজ করেছে বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায় ১৯৯৬ সাল থেকে উপরক্ত ২৭২ নম্বর বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। বসবাস চলাকালীন অবস্থায় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা জোরপূর্বকভাবে বাড়িটি দখল করার জন্য হামলা চালায় । এ হামলার নেতৃত্ব দেয় শীর্ষ সন্ত্রাসী এস.এম. মাহাবুবসহ লুৎফর, বিল্লাল, সুফিয়া খাতুন, জঙলু, জীবন, পপ্লু, উজ্জ্বল, রিনা খাতুন, জনি দেওয়ান, আকবর আলী, মোঃ হারুন, জি.এম. রাসেল ও বাদলসহ আরও অনেকে। ভুক্তভোগীরা দক্ষিনখান থানায় মামলার সুষ্ঠু বিচার না পেয়ে তারা তৎকালীন ১৮/০২/২০১৬ তারিখে গাজীপুর পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এরপরেও পুলিশ সুপারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত না পেয়ে ০৪/০৯/২০১৯ সালে ভুক্তভোগীরা পুলিশ কমিশনারের বরাবর বিচারের দাবিতে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িটি স্থানী ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীর কবল থেকে উদ্ধারের জন্য আবেদন করেন। অভিযোগটি সদয় তদন্তের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হকের জোরালো সুপারিশ ছিল। পরবর্তীতে আশানুরূপ ফল না পেয়ে মিনিষ্টারের সেক্রেটারি (এম.এস) পি.এম. দপ্তরে ০২/০৯/২০১৯ তারিখে মাননীয় মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় তেজগাঁও ঢাকা) বরাবরে উপরোক্ত অভিযোগ গুলো দাখিল করেন। আরও জানা যায় ভুক্তভোগীরা এই ব্যাপারে ঢাকা জেলা প্রশাসকের বরাবরে গত ০৬/০৩/২০২৩ একটি মামলা করেন। যার বাদী ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক। মামলা নম্বর- ৮৩/২৩, যাহার স্মারক নম্বর- ফায়দাবাদ মৌজার সিটি নামজারি ও জমাভাগ কেস নং- ৩৯৬/১২-৬৪৪৮ ও ৪০৪৮/২১-২২-১১৭২৫ বাতিল ও কর্তন করার আবেদন করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক ও তার সন্তান মোঃ জুয়েল হোসেন গণমাধ্যমের মাধ্যমে উক্ত ঘটনাটি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

- Advertisement -

Facebook Comments

Leave A Reply

Your email address will not be published.