নিউজ টাইমস্ থ্রিসিক্সফাইভ//রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনের চার নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরে প্রভাব দেখিয়ে সরকারী জমি বরাদ্দ নেওয়ার কথা বলে স্হানীয় ব্যবসায়ী ও নীরিহ মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মো. ওমর ফারুক নামের এক প্রতারক। জায়গা -জমি না পেয়ে ভুক্তভোগিরা ওই প্রতারকের কাছে টাকা ফেরত চাইলে টাকা না দিয়ে উল্টো তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও ভয়ভীতি এমনকি হত্যার হুমকী দিয়ে আসছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। ফারুক বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের তাল বাহানা কথা বার্তা শুরু করে। জানা যায়, প্রতারক ওমর ফারুক বর্তমানে ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভাইরাভাই, সেই সুবাধে কাউন্সিলর জামাল মোস্তফার পি এ হিসেবে আছেন। তিনি আবার ১৩ নম্বর সিটি করপোরেশন মার্কেটের সভাপতির দ্বায়িত্বেও আছেন। আরো জানা যায়, ওমর ফারুক সাবেক একজন নেভী পারসন ছিলেন। এত কিছু জেনে সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়ীরা তার কথা বিশ্বাস করে তারা লাখ লাখ টাকা তার কাছে জমা দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় বছরে পর বছর অতিবাহিত হলেও জায়গা- জমির কোন হদিস পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে আবার নাসির নামের ফারুকের আরেক সঙ্গী তাকে ভূয়া ভূমির সচিব বানিয়ে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় মিটিং করে পাওনাদারদের আসস্ত করেন। তার পরেও কোন প্রকার কোলকিনারা না হওয়ায় ভূয়া সচিব নাসির ফারুকের পরার্মশে পালিয়ে যায়। এই ভাবে প্রতারক ওমর ফারুক বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে মানুষকে পথের ফকির বানিয়েছে। আর তিনি গড়ে তুলেছেন ফ্লাট ও বাড়ী। ভুক্ত ভোগিরা তাদের টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন ধরনের তাল বাহানা শুরু করে দেয়। এবং তার বাহিনী দিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকী দেয় বলে জানা গেছে। অভিযোগে আরো জানা যায়, প্রতারক ফারুক সরকারী জমি দখল করে দিবে বলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে ৪নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বিভিন্ন ধরনের হাজারো অভিযোগ রয়েছে। তিনিতো জামাল মোস্তফার লোক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না। এ দিকে ভুক্তভোগি আলামিন ঠাকুর প্রতারক ওমর ফারুক ও ভুয়া সচিব নাসিরের বিরুদ্ধে ২১ সালের ১১ এপ্রিল মাসে কাফরুল থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন। যার নম্বর ৬১৩। ডাইরিতে উল্লেখ করেন আলামিন ঠাকুর আমি ওমর ফারুক ও নাসিরের কাছে ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা পাই। তিনি বলেন, তারা আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে নগদ ও ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে টাকা গুলো নিয়েছে। তার প্রমান আমার কাছে আছে বলে তিনি জানান। তারা জমি বা কোন প্রকার জায়গা দিতে পারেনি। পরে পাওনা টাকা চাইতে গিয়েও বিভিন্ন ধরনের হুমকী মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তারা আমার টাকা নগদে ও চেকে প্রধাণ করবেন বলে তালবাহানা করে আসছেন। আরো ভুক্তভোগিরা হলেন, মো.শামিম, মো.সেলিম ও ছানাউল্লাহ সহ আরো অনেকেই তাদের কাছে টাকা পাবে বলে অভিযোগে জানা গেছে। এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনের মাধ্যমে ব্যবস্হা নেওয়ার জন্য প্রসাশনের কাছে জোর্রদাবী করেন ভুক্তভোগিরা।
- Advertisement -